প্রাচীন যুগের মানুষেরা পাথরে নির্মিত অস্ত্র, সরঞ্জাম ও উপকরণ ব্যবহার করা শুরু করে। এসময় তারা প্রকৃতিতে পশু শিকার করত এবং খাদ্য সংগ্রহ করত।
তারা পাহাড় কেটে গুহাতে বাস করত এবং গুহার দেওয়ালে অনেক সময় তাদের শিকারকাহিনীর চিত্র এঁকে রাখত; অনেক সময় ধর্মীয় কারণেও তারা গুহাচিত্র আঁকত। ধারণা করা হয় এই যুগেই মানব ইতিহাসে বিজ্ঞান,শিল্পকলা ও ধর্মের উৎপত্তি ঘটে।
প্রাচীন যুগের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলঃ খামার পশুপালন ও কৃষিকাজের উদ্ভব ঘটে। এর আগে মানুষ খাবারের জন্য বন্য শস্যদানার ভান্ডারের উপর নির্ভরশীল ছিল।
কিন্তুপ্রতিকূল শুষ্ক আবহাওয়ার সময় এগুলি খাবারের অযোগ্য হয়ে পড়ত। তাই মানুষেরা শস্যদানাগুলিকে আবার পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা চালাতো এবং এভাবে ধীরে ধীরে কৃষিকাজের জন্ম হয়। পশুপালন ও কৃষিকাজের উদ্ভব ছিল মানব ইতিহাসের একটি বৈপ্লবিক ঘটনা। এর ফলে খাদ্য সংগ্রহ ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানুষের কর্মকাণ্ড ও আচরণে স্থায়ী পরিবর্তন আসে। তবে এই বিপ্লব সহসা একবারের জন্য ঘটেনি। প্রায় কয়েক হাজার বছর ধরে বিভিন্ন মানব বসতিতে বিভিন্ন সময়ে এরকম একাধিক কৃষি বিপ্লবঘটেছিল।কৃষিকাজ ও খামারে পশুপালনের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসে। কৃষিকাজের কারণে অনেক মানুষ এক জায়গায় বাস করা শুরু করে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির কারণে জনসংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এভাবে ধীরে ধীরেপৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক মানবসভ্যতার পত্তন হয়।আর এইভাবেই প্রাচীন সভ্যতার সুত্রপাত হয়।