রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। গাণিতিক সূত্র অপেক্ষা যান্ত্রিক পদ্ধতিতেই এটা মাপা হয়। আর এক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ। একটি স্প্রিংয়ে ভারী বস্তুর সঙ্গে গ্রাফ অঙ্কন কলম ও পেপার ড্রাম যুক্ত থাকে। যখন ভূমিকম্প সংঘটিত হয় তখন মাত্রানুযায়ী গ্রাফ তৈরি হয়, যা দেখে মাত্রা বোঝা যায়। এই গ্রাফটির একক প্রকাশ করা হয় রিখটার স্কেলে। ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত এই যন্ত্র প্রতিনিয়ত তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। . মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ভূকম্পনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। . গ্রেট আর্থকোয়াক : ৮.০ বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্পকে 'গ্রেট আর্থকোয়াক' বলে বিবেচনা করা হয়। এর আঘাতে যে পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ হতে পারে তা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। . মেজর আর্থকোয়াক : ৭.০-৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পকে 'মেজর' মানের কম্পন বলে ধরে নেওয়া হয়। এই ভূমিকম্প মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে। . স্ট্রং আর্থকোয়াক : ৬.০-৬.৯ মাত্রার ভূকম্পনকে 'স্ট্রং' বলা হয়, যাকে আমরা শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে বিবেচনা করি। . মডারেট আর্থকোয়াক : ৫.০-৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প 'মডারেট' বিবেচিত হবে। . এর বাইরে রয়েছে মাইনর আর্থকোয়াক যার মাত্রা ৩.০-৩.৯ পর্যন্ত। আর ৩.৩ এর কম মাত্রার ভূমিকম্পকে 'মাইক্রো' বলে ধরে নেওয়া হয়। এই দুই মাত্রায় তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিসাধিত হয়। মাইনর ও মাইক্রো মাত্রার ভূমিকম্প আদৌ অনুভূত হয় না। কিন্তু রিখটার স্কেলে ধরা পড়ে।