ক) পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলিয় নিয়ে ৷গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান এরপর ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে যেমন খুশকি দূর হবে তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।
খ) টকদই খুশকি দূর করা এবং চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। আপনাকে যা করতে হবে তাহলো
৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান তারপর মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।
গ) একটি ডিমের সাদা অংশ সাথে ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি ।
ঘ) মেথি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটা জিনিস। এটি ব্যবহার করতে আপনাকে যা করতে হবে তাহলো প্রথমে নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। যদি দ্রুত ফলাফল পেতে চান তবে সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।
অথবা মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।
ঙ) চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। আপনাকে যা করতে হবে তাহলো প্রথমে অলিভ অয়েল গরম করে নিন ,এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
চ) পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। এর জন্য আপনাকে পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিতে হবে এরপর পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।
উল্লেখ্য :
*নিয়মিত চুল আঁচড়ান , এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
*পুষ্টিকর খাবার খান , এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
*চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন , কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।
*কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে অনেকটা খুশকির মতো হয়। তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়াটাই উত্তম ৷