এলার্জি ঔষধের অনেক ধরন রয়েছে। এগুলোকে সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়:
-
এন্টিহিস্টামাইন
-
স্টেরয়েড
এন্টিহিস্টামাইন
এন্টিহিস্টামাইন হল এলার্জির লক্ষণগুলির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ঔষধ। এগুলো হিস্টামাইন নামক একটি রাসায়নিকের কাজকে ব্লক করে কাজ করে। হিস্টামাইন হল এলার্জির প্রতিক্রিয়াগুলির জন্য দায়ী একটি রাসায়নিক।
এন্টিহিস্টামাইনগুলি বিভিন্ন ফর্মে পাওয়া যায়, যেমন:
-
ট্যাবলেট
-
ক্যাপসুল
-
সিরাপ
-
ওষুধের স্প্রে
-
চোখের ড্রপ
-
নাকের স্প্রে
এন্টিহিস্টামাইনগুলির কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:
-
ডিফেনহিড্রামিন (ডিএইচসি)
-
লোরাটাডিন
-
সেটিরিজিন
-
ফেক্সোফেনাডিন
-
বুকারমিন
স্টেরয়েড
স্টেরয়েড হল শক্তিশালী এলার্জি ঔষধ যা প্রায়শই গুরুতর এলার্জির প্রতিক্রিয়াগুলির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। স্টেরয়েডগুলি প্রদাহ কমাতে কাজ করে।
স্টেরয়েডগুলি সাধারণত ট্যাবলেট, ইনজেকশন বা ইনহেলার আকারে পাওয়া যায়।
স্টেরয়েডগুলির কিছু সাধারণ উদাহরণ হল:
-
বেক্লোমেটাসোন
-
ফ্লুটিকাসোন
-
ট্রাইামসিনোলোন
-
বুডেসনিড
-
ফ্লুটারিডিল
অন্যান্য এলার্জি ঔষধ
এছাড়াও, অন্যান্য ধরণের এলার্জি ঔষধও রয়েছে, যেমন:
-
অ্যান্টিকোলিনর্জিকস
-
অ্যান্টিলেউকোট্রিয়েনস
-
ইমিউনোথেরাপি
অ্যান্টিকোলিনর্জিকস হিস্টামাইনের কাজকে ব্লক করে কাজ করে, তবে এন্টিহিস্টামিনের তুলনায় এরা কম কার্যকর। অ্যান্টিকোলিনর্জিকসগুলি সাধারণত ত্বকের এলার্জির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যান্টিলেউকোট্রিয়েনস হল একটি নতুন ধরনের এলার্জি ঔষধ যা লেইকোট্রিয়েন নামক একটি রাসায়নিকের কাজকে ব্লক করে কাজ করে। লেইকোট্রিয়েন হল এলার্জির প্রতিক্রিয়াগুলির জন্য দায়ী আরেকটি রাসায়নিক। অ্যান্টিলিউকোট্রিয়েনসগুলি সাধারণত হাঁপানি এবং রাইনাইটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইমিউনোথেরাপি হল একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা যা শরীরের এলার্জি প্রতিক্রিয়াগুলির প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। ইমিউনোথেরাপি সাধারণত ইনজেকশন আকারে দেওয়া হয়।
আপনি যদি এলার্জি ঔষধ গ্রহণ করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার এলার্জির ধরন এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য সেরা চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।