বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা নদীর তীরবর্তী রূপপুরে। ১৯৬২ সালে এই স্থানটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্বাচিত হয়। ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড গঠন করা হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি পার্টনারশিপ, ভারতের পরমাণু শক্তি সংস্থা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দুইটি ইউনিট নিয়ে গঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিট ১২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার হবে। প্রথম ইউনিটটির নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শুরু হয় এবং ২০২৭ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটটির নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে শুরু হবে এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে প্রায় ৫০%।