বগুড়া শহরের প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। এটি ছিল প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় যে, প্রায় ২৫০০ বছর আগে এই অঞ্চলে একটি সমৃদ্ধ সভ্যতা বিরাজ করত। এই সভ্যতার কেন্দ্র ছিল পুণ্ড্রনগর।
পুণ্ড্রনগরের শাসনকর্তা ছিলেন পুণ্ড্রবর্ধনের রাজা। পুণ্ড্রবর্ধন ছিল একটি স্বাধীন রাজ্য। এর রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর। এই রাজ্যের সীমানা ছিল উত্তরে গঙ্গা নদী, দক্ষিণে যমুনা নদী, পূর্বে দিনাজপুর জেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা।
পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের শাসনকর্তারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা বৌদ্ধধর্মের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পুণ্ড্রনগরের কাছেই অবস্থিত মহাস্থানগড়ে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্য চলে যায়। এরপর এটি পাল সাম্রাজ্য, সেন সাম্রাজ্য এবং মোঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।
ব্রিটিশ শাসনামলে পুণ্ড্রনগরের নাম বদলে বগুড়া রাখা হয়। বর্তমানে বগুড়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এটি একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র।