স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তৈরি করেন কামরুল হাসান। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। তিনি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৬ (বর্তমান ১১৭-১১৮) নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলামের সাথে পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পতাকার রং, আকার ও ডিজাইন নিয়ে আলোচনা হয়। কামরুল হাসান পতাকার ডিজাইন করেন।
পতাকার ডিজাইন তৈরির পর, কামরুল হাসান পতাকাটি তৈরির দায়িত্ব দেন শিবনারায়ণ দাসকে। শিবনারায়ণ দাস ছিলেন একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে। তিনি পতাকাটি তৈরির জন্য ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন। এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হল (বর্তমানে তিতুমীর হল)-এর ৩১২ নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে তার নিপুন হাতে মানচিত্রটি আঁকলেন লাল বৃত্তের মাঝে।
এইভাবে তৈরি হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রলীগের এক সমাবেশে আ স ম আবদুর রব এই পতাকা উত্তোলন করেন।