ধ্বংস বিজ্ঞানের জনক হিসেবে ফ্রান্সের বিজ্ঞানী ভিনসেন্ট দ্য ভিলেন (Vincent de Villers)কে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৭৯৪ সালে "La Destruction" (ধ্বংস) নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যা ধ্বংস বিজ্ঞানের প্রথম বই হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বইটিতে তিনি ধ্বংসের বিভিন্ন দিক, যেমন ধ্বংসের ইতিহাস, ধ্বংসের পদ্ধতি এবং ধ্বংসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
ভিনসেন্ট দ্য ভিলেনের আগেও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ধ্বংসের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তবে, তিনিই প্রথম ধ্বংসকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করেন এবং ধ্বংসের বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি সমগ্রিক আলোচনা করেন।
ভিনসেন্ট দ্য ভিলেনের পরও অনেক বিজ্ঞানী ধ্বংস বিজ্ঞানের উপর গবেষণা করেছেন। বর্তমানে ধ্বংস বিজ্ঞান একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি সামরিক, নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ধ্বংস বিজ্ঞানের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন:
-
চার্লস ব্রাউনিং (Charles Browning): তিনি ১৮৭০ সালে "The Science of War" (যুদ্ধের বিজ্ঞান) নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যা ধ্বংস বিজ্ঞানের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ফ্রিডরিখ নিচে (Friedrich Nietzsche): তিনি ধ্বংসকে একটি ইতিবাচক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেন এবং তিনি ধ্বংসের মাধ্যমে একটি নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখতে পান।
-
জিন-পল সার্ত্র (Jean-Paul Sartre): তিনি ধ্বংসকে মানুষের অস্তিত্বের একটি অনিবার্য দিক হিসেবে বিবেচনা করেন।
ধ্বংস বিজ্ঞানের প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল:
-
ধ্বংসের ইতিহাস: এই ক্ষেত্রটিতে ধ্বংসের বিভিন্ন যুগের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
ধ্বংসের পদ্ধতি: এই ক্ষেত্রটিতে ধ্বংসের বিভিন্ন পদ্ধতি, যেমন অস্ত্র, বোমা, রাসায়নিক এবং জৈবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়।
-
ধ্বংসের প্রভাব: এই ক্ষেত্রটিতে ধ্বংসের বিভিন্ন প্রভাব, যেমন পরিবেশগত প্রভাব, মানবিক প্রভাব এবং অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।