চাকরি এবং পরাধীনতা দুটি ভিন্ন ধারণা। চাকরি হল এমন একটি সম্পর্ক যেখানে একজন ব্যক্তি (কর্মচারী) অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের (নিয়োগকর্তা) অধীনে কাজ করে এবং তার বিনিময়ে বেতন বা অন্যান্য সুবিধা পায়। অন্যদিকে, পরাধীনতা হল এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা শোষিত হয়।
চাকরি এবং পরাধীনতার মধ্যে মূল পার্থক্য হল, চাকরিতে একজন কর্মচারীর কিছু স্বাধীনতা থাকে, যেখানে পরাধীনতায় একজন ব্যক্তির কোন স্বাধীনতা থাকে না। চাকরিতে একজন কর্মচারী তার কাজের সময়, স্থান এবং পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যদিকে, পরাধীনতায় একজন ব্যক্তিকে তার কাজের সময়, স্থান এবং পদ্ধতি সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হয় না।
উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষক একটি স্কুলে চাকরি করে। তিনি তার কাজের সময় এবং পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যেমন ক্লাসের সময়সূচী, পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি। তবে, তিনি তার স্কুলের নিয়মকানুন মেনে চলতে বাধ্য। যদি তিনি নিয়মকানুন লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হতে পারে।
অন্যদিকে, একজন দাস তার মালিকের অধীনে কাজ করে। তিনি তার কাজের সময়, স্থান এবং পদ্ধতি সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তিনি তার মালিকের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। যদি তিনি নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হতে পারে।
সুতরাং, চাকরি এবং পরাধীনতা দুটি ভিন্ন ধারণা। চাকরি হল এমন একটি সম্পর্ক যেখানে একজন ব্যক্তির কিছু স্বাধীনতা থাকে, যেখানে পরাধীনতায় একজন ব্যক্তির কোন স্বাধীনতা থাকে না।