বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের জন্য যেসব যোগ্যতা থাকা দরকার তা হল -
১. প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. আপনি যদি বিদেশী নাগরিক বিয়ে করে থাকেন তাহলে আপনি বিসিএস পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন না।
৩. বাংলাদেশে যে কোন নাগরিক লিঙ্গ নির্বিশেষে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন।
৪. যারা সরকারি চাকরি করেন কিন্তু নিজেকে যোগ্য মনে করেন তারা অনুমতি সাপেক্ষে বিসিএস এ অংশগ্রহন করতে পারবেন।
৫. বয়সসীমা - মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রাথীর্ এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রাথীর্ ছাড়া অন্যান্য সকল ক্যাডারের প্রাথীর্র জন্য বয়স ২১ হতে ৩০ বছর। আর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রাথীর্ এবং বিসিএস(স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রাথীর্র জন্য বয়স ২১ হতে ৩২ বছর। বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের জন্য শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রাথীর্র বেলায় বয়স ২১ হতে ৩২ বছর। প্রাথীর্র বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
৬. এস এস সি (মাধ্যমি) থেকে শুরু এইচ এস সি (উচ্চ মাধ্যমিক), চার বছরের অনার্স পাস এবং মাস্টার্স পাস করা থাকলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন। SSC এবং HSC এর ক্ষেত্রে জিপিএ বা সিজিপিএ দের পয়েন্ট হিসাব হল - ৩ বা তদুর্ধ্ব =প্রথম শ্রেণী, ২ থেকে ৩ এর কম=দ্বিতীয় শ্রেণী, ১ থেকে ২ এর কম=তৃতীয় শ্রেণী। অনার্সের ক্ষেত্রে - ৩ বা তদুর্ধ্ব =প্রথম শ্রেণী, ২.২৫ থেকে ৩ এর কম=দ্বিতীয় শ্রেণী, ১.৬৫ থেকে ৩ এর কম=তৃতীয় শেণী।
৭. এমনকি চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়।
৮. কেউ যদি তিন বছরের অনার্স বা পাস কোর্সে পড়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্টার্স পাস হতে হবে বিসিএস পরীক্ষার জন্য।
৯. আর বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতায় শিক্ষাজীবনে সর্বোচ্চ একটি তৃতীয় বিভাগ গ্রহনযোগ্য। তৃতীয় বিভাগ = জিপিএ ২.০ এর কম। তবে শিক্ষা জীবনে একের অধিক তৃতীয় শ্রেণী থাকলে আপনি যত বড় ডিগ্রীধারীই হোন না কেন, আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের অযোগ্য।
১০. আর কয়েকটা বিশেষ ক্যাডারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে নির্ধারিত দৈহিক উচ্চতা, ওজন প্রভৃতি দরকার।
সূত্র:লিংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।