একজন ধর্ষনকারী যে , সমাজ , মানবতা এসবের তোয়াক্কা না করেই এই ঘৃণ্য কাজটি করেন এবং তিনি মানবতা বিরোধী, সমাজ বিরোধী মানসিকতা পোষন করেন সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না |
উন্মত্ত অর্থ লালসায় মানুষ যেমন আর্থিক জালিয়াতি করতে পারেন , তেমনি উন্মত্ত যৌন লালসায় মানুষ ধর্ষনের মতো ঘৃণ্য কাজও করতে পারেন |
পোষাক মানুষের পরিচিতি বহন করে | ছাত্র-ছাত্রী , নার্স ,পুলিশ, সামরিক বাহিনী , মৌলবি, পুরোহিত সবার বিভিন্ন পোষাক বিভিন্ন পরিচিতি , সম্মান বহন করে | আমরা কোনো বিশেষ অনুষ্টানে গেলে , বিশেষ পোশাকে সজ্জিত হয়ে যায় |
এবার, যদি কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে নোংরা পোষাকে যান বা ঈদের নামাজে যান, পুরোহিত সুট-বুট পরে পুজো করতে যায় , তাহলে ক্ষেত্র বিশেষে ওই পোষাক গুলির জন্য আপনি অপমানিত হতে পারেন | কেননা সেক্ষেত্রে পোষাক ওই বিশেষ স্থানের , প্রতিষ্ঠানের , ঐতিহ্যের , ভাবাবেগের মর্যাদা লঙ্ঘন করে |
প্রত্যেক দেশ তাদের কালচার , মানসিকতা, রুচি অনুযায়ী তাদের পরিধান , জীবন-যাত্রা হয় |
আপনার নিজের পছন্দ মত পোষাক পরার অধিকার আছে বলে , আপনি পোষাক সমন্ধে সচেতন হবেন না | ধর্ষনের জন্য শুধুমাত্র মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকেই দায়ী করবেন | তাহলে, আপনি আপনার অর্থকে সতর্ক ভাবে রাখেন কেন ??? টাকা-পয়সাকে তো মুক্তভাবে খোলামেলা অবস্থায় লোকচক্ষুর সামনে রাখেন না | টাকা-পয়সা চুরির জন্যও তো লোকের দৃষ্টিভঙ্গিই দায়ী |
আপনার অসতর্ক ও উন্মুক্তভাবে রাখা অর্থ কেউ লোভের বসে চুরি করতে পারে ভেবে, আপনি সতর্ক ভাবে রাখেন | তেমনি আপনার নগ্ন পোষাক কারো মনে যৌনতার উদ্রেক করতে পারে | ভালো মানসিকতার মানুষ কারো টাকা পয়সা চুরি করে না, তেমনি কোনো মহিলাকে ধর্ষনও করে না | মানুষের খারাপ দৃষ্টিভঙ্গী অর্থের লোভে অন্যের অর্থ চুরি করতে মদত দিতে পারে বা যৌন উত্তেজনায় ধর্ষনেও মদত দিতে পারে |
অর্থ যেমন পকেটের ভেতর বা মানি ব্যাগের ভেতরে রাখেন , তেমনি নগ্ন দেহ একটু পোশাকের অন্তরালে থাকলে ক্ষতি কি ❗ দুটোই প্রকাশ্যে দেখিয়ে তো আপনার কোনো কাজে আসবে না |
এবার কেউ স্থান বিশেষে সতর্ক হবেন , নাকি লোকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভরসা করবেন ..... সেটা একান্তভাবে তার ব্যক্তিগত বিষয় |
তবে , প্রসাশনের কঠোর মনোভাব , নজরদারি , মানুষের মানবিকতার উন্মেষ পরিস্থিতি বদলাতে পারে |