আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, হে নবী বলে দিন আপনাদের স্ত্রীদের ও আপনার কন্যাদের এবং মুমিনদের স্ত্রীদের তাদের বস্ত্র (ওড়না) তাদের (মুখমন্ডল, গলা, বুকের) উপর দিয়ে টেনে রাখে। এটাই অধিক উপযোগী যাতে তাদের চেনা যায় (ঈমানদার নারীরূপে) ফলে উত্ত্যক্ত হবে না (কুনজরকারীদের থেকে)। আর আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)। একই সূরার ৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, তোমাদের গৃহে অবস্থান করবে (শান্তভাবে), (বাহিরে) সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না, যেমন প্রদর্শন করতে পূর্বে অজ্ঞতার যুগে।
নারীর খোলামেলা পোশাক ও চলাফেরা যদি ধর্ষণের জন্য সহায়ক হয়, তাহলে আপাদমস্তক বোরকা পরা মেয়েটিও তো কোন সময় ধর্ষণের শিকার হয়? এ প্রশ্ন অনেকের। এর সরল উত্তর হলো, ধর্ষিতা কিংবা বোরকা পরিহিতা মেয়েটি এখানে কারন নয় , বরং নরাধম ধর্ষকের উম্মাদনা এবং পশুত্ব জাগ্রত করতে ভূমিকা রেখেছে অনলাইন বা অফলাইনে প্রদর্শিত নারীদেহের পোশাকের খোলামেলা কিংবা যৌন আবেদনময় দৃশ্য।
যদি নারীদের পোশাক দায়ী না হতো তাহলে আল্লাহ কেন অসংখ্য আয়াতে নারীদের কে পর্দা করার জন্য বলেছন। এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করার জন্য না করেছেন। বরং আল্লাহ তাদের শরীরকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন, যে মানুষ আকৃষ্ট হবেই, একারনে আল্লাহ পর্দার কথাও বলেছেন।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।