নিরাপত্তা আদিকাল থেকে মানব জীবনের প্রাথমিক ও মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম ।নিরাপত্তা বলতে বোঝায় কোন ভিত্তি বা হুমকি থেকে মুক্তি রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা হলো সেসব ভিত্তি বা হুমকি দেয়ার সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি কে প্রতিহত করে তা দূরীকরণ বা আপেক্ষিক হ্রাস ঘটানো।
নিরাপত্তা মূলত দুই প্রকার ১)প্রচলিত নিরাপত্তা
২)অপ্রচলিত নিরাপত্তা
সাধারণভাবে প্রচলিত নিরাপত্তা বলতে বোঝায় একটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে নিরাপত্তা। প্রচলিত নিরাপত্তা ভূ-রাজনৈতিক ধারণা যা জাতিরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং সামরিক কৌশল ও শক্তি সামনের সাথে সম্পর্কিত অন্যভাবে বলা যায় একটি জাতিকে হুমকি প্রদানকারী প্রথাগত যেমন ধ্বংস ,সহিংসতা, বিদ্রোহ, গৃহযুদ্ধ ,অন্য রাষ্ট্র্ কর্তৃক আক্রমণ বা যুদ্ধ ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকাকে প্রচলিত নিরাপত্তা বলে। প্রচলিত নিরাপত্ত্বার মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রের নিরাপত্তা। অপ্রচলিত নিরাপত্তা মূল লক্ষ্য ব্যক্তির নিরাপত্তা। অপ্রচলিত নিরাপত্তা বলতে একটি রাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতার বাইরের সক্ষমতাকে বোঝায় নিরাপত্তা বেসামরিক বিষয়ে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয়, সম্পদের সংক্রামক ব্যাধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অভিবাসন ,খাদ্যসংকট, মানবপাচার, মাদক পাচার ও অন্যান্য আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ।অপ্রচলিত নিরাপত্তা ধারনার দিকগুলো মানব নিরাপত্তা । এই ধারণার মূল কথা হল হলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপরীতে ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধ।ন । অপ্রচলিত নিরাপত্তা ৬টি শাখা রয়েছে
এগুলো হলো ক)আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ
খ)আন্তরাষ্ট্রীয় সংঘটিত অপরাধ
গ)পরিবেশগত নিরাপত্তা ঘ)অবৈধ অভিবাসন
ঙ) শক্তি নিরাপত্তা
ঙ)মানব নিরাপত্তা