এক্ষেত্রে আপনার রেগুলেটরের কোয়ালীটির উপর নির্ভর করে ।
আপনি যদি বড় সাইজের যে রেগুলেটর গুলি রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করেন তা হলে বিদ্যুৎ বিল একটি আসবে। কারন এটি পাখার কারেন্ট কমিয়ে দেয় এবং এর মাধ্যমে স্পিড কমে যায়। কিন্তু রেগুলেটরের ভিতরে থাকা রেজিস্টিভ তারের কুণ্ডলী তাপ সৃষ্টি করে যার ফলে বিদ্যুৎ মোট একই খরচ হয়।
তাহলে কোন ধরনের রেগুলেটর কম বিদ্যুৎ খরচ করে যদি আপনি রেগুলেটর কমিয়ে দেন।
বাজারে এখন অনেক আধুনিক রেগুলেটর বের হয়েছে যেগুলো ফানের রেগুলেটর কমানো সাথে সাথে বিদ্যুৎ খরচও কমিয়ে দেয়।
আধুনিক ইলেক্ট্রনিক রেগুলেটর গুলো হলো থাইরিস্টর ক্যাটাগরির একটা সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস। যাকে ট্রায়াক বলা হয়। এই ভেরিয়েবল রেজিস্ট্যান্সটাই আসলে বাইরের নবটা যেটা ঘোরানো হয়। আমাদের সাপ্লাই ভোল্টেজের ওয়েভফর্ম সায়নুসয়ডাল এবং এটা কন্টিনিউয়াস। ফায়ারিং এংগেল এর উপর নির্ভর করে এই ট্রায়াক নামের পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক কম্পোনেন্ট টি এই ওয়েভফর্ম এর কিছু পার্ট কেটে বাদ দিয়ে দেয়। এই ফায়ারিং এংগেল টা আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন বাইরে থেকে রেজিস্ট্যান্স এর নব ঘুরিয়ে। ফলে পাখার মোটরে গড় পাওয়ার কম সাপ্লাই হয়। ফলে পাখা আস্তে চলতে শুরু করে। যে পরিমান পাওয়ার কম যায়, ক্যাপাসিটর তা পুনরায় মেইন সাপ্লাই এ ফিরিয়ে দেয়। ফলে কোনো পাওয়ার নষ্ট হয় না। আপনার ইলেক্ট্রিক বিল ও কম আসে।
এই ইলেক্ট্রনিক রেগুলেটর আবার বাজারে দু রকম পাওয়া যায়।
একটা তে কোনো ঘাট থাকে না স্মুথলি স্পিড কন্ট্রোল করা যায়। বাজারে দাম প্রায় একশো টাকার মত। এটাতে মোটরে কিছু ডিসটর্সন হয়। আমার মনে হয় এটা পাখার লাইফ টাইম কমিয়ে দেয়।
আর এক রকম আছে এগুলোর পাঁচটা ঘাট আছে। দাম একটু বেশি।এগুলোই একটু বেশি ভালো বলে মনে হয় আমার।
ইলেক্ট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে টর্ক ইউনিফর্ম থাকেনা, মোটরে কিছু মেকানিক্যাল স্ট্রেস পড়ে। একটু পুরানো হলে পাখায় নয়েজ হওয়া একটা সমস্যা।
সেদিক থেকে রেজিস্ট্যান্স রেগুলেটর ই ভালো।
সূত্র:
http://abhieeeprojects.blogspot.com/2016/01/blog-post_12.html