দার্শনিক বঙ্গবন্ধুঃ
১।একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি।একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।এই নিরন্তর সম্পৃিক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।
২।রাজনৈতিক কারণে একজনকে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্বীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝবে? মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।
♦বইটির এমন একটি ঘটনা বলুন, যা আপনাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়ঃ
(নিজের ভাষায়, এর উত্তরে আপনার নিজের যে অংশ ভালো লেগেছে তাই ই বলবেন)
নমুনাঃ
১।বঙ্গবন্ধু ছিলেন এমন একজন মানুষ, যাঁকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করার মত শব্দভাণ্ডার আমার নেই।বঙ্গবন্ধু ওনার নিজের আত্নজীবনী লিখতে গিয়ে নিজেকে নয় বরং অন্যদেরকেই নায়ক করে তুলেছেন।যেমনঃ শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হকের জনপ্রিয়তাকে তিনি স্পষ্টভাবে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু নির্ধিদ্বায় লিখেছেনঃ একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চান না এখন? কেন তিঁনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে ম
মন্ত্রীসভা গঠন করছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধলোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন---- দাড়িয়ে বললেন, যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্বে কিছুই বলবেন না।তিঁনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাইনা। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।বঙ্গবন্ধু একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন বিধায় তিঁনি লিখেছেন, শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদেরকে মারপিট করেছে।অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।
২।১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু ওনার গৃহশিক্ষক আবদুল হামিদ এম এস সি এর উদ্বোগে মুসলমানবাড়ি থেকে প্রত্যেক রবিবার মুষ্ঠি ভিক্ষার চাল ওঠাতেন।এই চাল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার ও অন্যান্য খরচ দিতেন।
===============================
-