❑❑ মা সায়েরা খাতুনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৃতিচারণঃ
‘আম্মা? তিনি দয়ালু, ধার্মিক। তাঁর নিজের জগৎ নিয়েই তিনি থাকেন।’
‘আমার ওপর আমার মা-বাবার টান যে কত বেশি সে কথা কখনও বোঝাতে পারব না। তাঁরা আমাকে ‘খোকা’ বলে ডাকেন। মনে হয় আজো আমি তাঁদের ছোট্ট খোকাটি। পারলে কোলে করেই শুয়ে থাকে। এই বয়সেও আমি আমার মা-বাবার গলা ধরে আদর করি।’
‘তিনি কোনদিন আমার আব্বার সঙ্গে শহরে থাকতেন না। তিনি সমস্ত সম্পত্তি দেখাশোনা করতেন আর বলতেন, ‘আমার আব্বা আমাকে সম্পত্তি দিয়ে গেছেন। যাতে তাঁর বাড়িতে আমি থাকি। শহরে চলে গেলে এ বাড়িতে আলো জ্বলবে না, বাবা অভিশাপ দিবে।’
‘মনে পড়ল আমার বৃদ্ধ বাবা-মার কথা। জেল থেকে বেরিয়ে কি তাঁদের দেখতে পাব? তাঁদের শরীরও ভাল না। বাবা বুড়া হয়ে গেছেন। তাঁদের পক্ষে আমাকে দেখতে আসা খুবই কষ্টকর। খোদার কাছে বললাম, খোদা তুমি তাদেও বাঁচিয়ে রেখ, সুস্থ রেখ।’
‘রাতে আবার থানায় রইলাম।….মা অনেক কেঁদেছিল, খবর পেলাম। আমার মনটাও খারাপ হল। আমার মা, আব্বা ও ভাইবোন এবং ছেলেমেয়েদের এ দুঃখ না দিলেই পারত।’
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মা সায়েরা খাতুনঃ
‘বাবা, তুই তো পাকিস্তান পাকিস্তান করে চিৎকার করেছিস, কত টাকা খরচ করেছিস এ দেশের মানুষ তো তোর থেকেই পাকিস্তানের নাম শুনেছিল, আজ তোকেই সেই পাকিস্তানের জেলে কেন নেয়?’
‘এমনকিছু সে করেনি যা ভাল নয়। আমার বংশে তিন পুরুষেও এমন নির্ভীক সৎ সাহসী ছেলে আসেনি।’
(কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী)।