বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সি-ফুডের সঙ্গে যুক্ত। করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। উট, বিড়াল এবং বাদুড় সহ অনেক প্রাণীর শরীরেই এই ভাইরাস প্রবেশ করতে সক্ষম। আর এই সব প্রাণী থেকেই ওই বিরল ভাইরাসে মানুষও সংক্রামিত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। করোনা ভাইরাস হলো নিদু ভাইরাস শ্রেণীর। করোনা ভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি। এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলোব্যাসের মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়।