যেকোনো মানুষের মন জয় করা মোটেই সহজ নয়। তবে কিছু বিষয় রয়েছে, যে বিষয়গুলোর সহায়তায় আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন সেই কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সে ধরনের ১২টি উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. পরিবেশ সচেতনতা:
পরিবেশ সচেতনতার সঙ্গে মন জয় করার আবার সম্পর্ক কী? কিন্তু বিষয়টি আশ্চর্য হলেও সত্যি যে, আপনি যদি পরিবেশ বিষয়ে সচেতন হন তাহলে অন্যের ভালোবাসা পাওয়া আপনার পক্ষে সহজ। ২০১৬ সাত দলের এক গবেষণাতেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে, আপনি যদি পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ক্রয় করেন তাহলে তা অন্যদের আপনার প্রতি আগ্রহী করতে পারে। আর এটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক।
২. কঠোর প্রচেষ্টায়:
কখনো কখনো কারো মন যোগানোর চেষ্টা করলেও তা পাওয়া যায় না। তবে এটি সীমিত ক্ষেত্রে ঘটে। প্রায়ই কেউ যখন কারো মন যোগানোর চেষ্টা করে এবং এ জন্য নিজের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তখন অপর পক্ষের ভালোবাসা পাওয়া যায়।
৩. সঠিক মুখভঙ্গি:
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আপনার সঠিক মুখভঙ্গি অপর মানুষকে আকর্ষণ করতে কার্যকর। এ ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর বিষয়টি ভিন্নভাবে কাজ করে। সুখী নারীর মুখভঙ্গি পুরুষকে আকর্ষণ করলেও গর্বিত মুখভঙ্গি আকর্ষণ করে না। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে সুখী মুখভঙ্গি নয় বরং গর্বিত মুখভঙ্গি বাড়তি আকর্ষণ যোগায়।
৪. চেহারায় মিল:
আপনার কাঙ্ক্ষিত মানুষের প্রিয় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে চেহারায় মিল থাকলেও ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনেকাংশে সুবিধা পাওয়া যায়। দেখা গেছে, বর্তমান কিংবা সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে চেহারায় মিল থাকলেও মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয় মানুষ।
৫. হাতের অঙ্গভঙ্গি:
হাতের সঠিক অঙ্গভঙ্গি আপনার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেবে। আপনি যদি কথা বলার সময় সঠিকভাবে হাত নাড়াতে পারেন তাহলে আপনার আকর্ষণ অনেক বেড়ে যাবে।
৬. দীর্ঘক্ষণ চোখে চোখ রাখা:
কারো সঙ্গে দীর্ঘ সময় চক্ষু সংযোগ ঘটলে আকর্ষণ তৈরি হতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। এ ক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার যদি কারো সঙ্গে দুই মিনিট চক্ষু সংযোগ হয়ে যায় তাহলে তা আকর্ষণ বৃদ্ধি করে। তবে সাপের মতো পলকহীন তাকিয়ে থাকলে হবে না, এ জন্য চক্ষু সংযোগে কিছুটা প্রাণ যেন থাকে।
৭. একে অন্যের বিষয়ে ধোঁয়াশা:
অজানা বিষয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বরাবরই রয়েছে। আর তাই কিছুটা ধোঁয়াশা অনেক সময় আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়টি জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
৮. নানা বিষয়ে মিল:
একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মিল থাকলে তা সহজেই অন্যকে আকর্ষণ করে। তাই আপনার সঙ্গে কারো যদি দারুণ মিল থাকে তাহলে সেও আপনাকে পছন্দ করতে পারে। দুজন ব্যক্তির মাঝে যদি একই ধরনের মূল্যবোধ কাজ করে তাহলে তাদের আকর্ষণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে তাদের পিতামাতা যা শিখিয়েছেন কিংবা ছোটবেলা থেকে যে বিষয়গুলো জেনে এসেছেন সেসব বিষয়ে একই ধরনের বিশ্বাস থাকলে আকর্ষণ অনেক বেড়ে যাবে।
৯. দেহের সঠিক গন্ধ:
দেহের গন্ধ যদি বিশ্রি হয় তাহলে তা অন্যদের দূরে যেতে বাধ্য করবে এটাই স্বাভাবিক। আর এর বিপরীতটিও প্রযোজ্য। আপনার দেহের গন্ধ যদি হয় দারুণ তাহলে তা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করবে।
১০. বাবা বা মায়ের মতো দেখতে:
আপনি যদি কাঙ্ক্ষিত মানুষের বাবা বা মায়ের মতো দেখতে হন তাহলে সুখবর রয়েছে। কারণ, ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট. অ্যান্ড্রিউসের মনোবিদ ডেভিড পেরেটের মতে, মেয়েরা তাদের বাবার মতো দেখতে পুরুষকে পছন্দ করে আবার ছেলেরা তাদের মায়ের মতো দেখতে নারীকে পছন্দ করে।
১১. প্রাণী ভালোবাসা:
আপনি যদি প্রাণী পুষতে ভালোবাসেন তাহলে তা অন্যদেরও আপনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে সাহাজ্য করবে। গবেষকরা বলছেন, এ বিষয়টি মূলত মানুষের নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ। যে একটি প্রাণীকে ভালোবাসে এবং তার সব দেখাশোনা করতে পারে সে অন্য মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
১২. আকর্ষণীয় চেহারাঃ
আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি যদি অত্যন্ত সুন্দর বা সুন্দরী হন তাহলে আপনার চেহারার ওপর তার আকর্ষণ নির্ভর করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার চেহারাও যদি তার মতো বা তার চেয়ে বেশি সুন্দর না হয় তাহলে তিনি আপনাকে পছন্দ নাও করতে পারেন। তবে এ বিষয়টি গড়পড়তা চেহারার ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব ফেলে না।