শক্তিসাম্যের সংজ্ঞাঃ
==============
শক্তিসাম্য হলো স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে এমন এক ধরণের সাম্যাবস্থা যেখানে কোনো একক শক্তি অথবা কোনো শক্তির সমবায়কে এমন ক্ষমতাসম্পন্ন হতে না দেয়া যাতে অন্যদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। অধ্যাপক সোয়ার্জেনবার্গার এটাকে “সাম্যাবস্থা” অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মোটামুটি “স্থায়িত্ব” বোঝাতে ব্যবহার করেছেন।
কুইন্সি রাইট এর মতে, “শক্তিসাম্য হলো এমন একটি ব্যবস্থা, যেটি প্রতিটি রাষ্ট্রের মধ্যে এমন এক বিশ্বাস সৃষ্টি করে যে, কোন রাষ্ট্র আগ্রাসী হয়ে উঠলে তাকে অপরাজেয় জোটের সম্মুখীন হতে হবে। ”
শক্তিসাম্যের সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন অধ্যাপক ফে(Sidney B. Fay) তাঁর মতে, “ শক্তিসাম্যের অর্থ হলো রাষ্ট্রীয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শক্তির এমন একটি সঠিক সাম্যাবস্থা, যেটি যে- কোন একটিকে বাধা দেবে এমন অধিক শক্তিশালী হতে যাতে সে অপরের উপর তার ইচ্ছাকে চাপিয়ে দিতে না পারে।”
অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতব্দীতে শক্তিসাম্য নীতি জনপ্রিয় ছিল । শক্তিসাম্যকে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা সৃষ্টিতে একটা অপরিহার্য উপাদান মনে করা হতো । কোন একটি রাষ্ট্র অধিক শক্তি সঞ্চয় করে ফেললে অন্য রাষ্ট্রগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করে তার সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করুনত । যার ফলে বাড়তি শক্তি সঞ্চয়কারী রাষ্ট্র শক্তিশালী হওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে বাধ্য হতো । এভাবেই শক্তিসাম্য শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপন করুনত । কিন্তু সোভিয়েত রাশিয়া ভাঙ্গার ফলে তা বিনষ্ট হয় ।
===