উত্তর: সাধারণভাবে কোনো দেশের স্বাভাবিক প্রয়োজনে অথবা আকস্মিক প্রয়োজনে যে পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ শর্তহীন বা শর্তসাপেক্ষে কোনো রাষ্ট্র অন্য কোন রাষ্ট্রকে প্রদান করে থাকে, তাকে বৈদেশিক সাহায্য বলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঔপনিবেশিক শাসন বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নব্য উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বৈদেশিক সাহায্যের উৎপত্তি। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন মার্শাল-এর ‘ইউরোপিয়ান ইকনমিক রিকভারি প্লান’ এর মাধ্যমে এর সূচনা হয়। এছাড়াও ট্রুম্যান ডক্ট্রিনের মতো প্ল্যান আসে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার করার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের পক্ষে রাখার জন্য সমাজতান্ত্রিক প্রভাব থেকে।
বৈদেশিক সাহায্য বিভিন্ন ধরণের হতে পারে –
ক. প্রকল্প সাহায্য (Project Aid)
খ. কারিগরি সাহায্য (Technical Assistance)
গ. পণ্যসাহায্য (Commodity Aid)
ঘ. অর্থসাহায্য (Monetary Aid)
ঙ. বৈদেশিক বেসরকারি বিনিয়োগ (Foreign Private Investment)
চ. সামরিক সাহায্য (Military Aid)